• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সাংবাদিক, রাজনীতিবীদদের সাথে অপরাজিতার মতবিনিময়

  • ''
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০২৪

নীলফামারী প্রতিনিধি

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিয়ে,সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ডেমোক্রেসি ওয়াচ নীলফামারী। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের নতুন বাজারস্থ ডেমোক্রেসি ওয়াচের কার্যালয়ে অপরাজিতা সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা অপরাজিতা নেট ওয়ার্কের সভাপতি দৌলত জাহান ছবির সভাপতিত্বে এবং প্রকল্পের জেলা সস্ময়কারি মো. কামাল হোসেন শাহের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি শাহাজান আলী চৌধুরী, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি তপন কুমার রায়।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আনোয়ারুল হক প্রধান, সাধারন সম্পাদক নুর আলম, নির্বাহী সদস্য তৈয়ব আলী সরকার, ডেমোক্রেসি ওয়াচের অপরাজিতা প্রকল্পের প্রোগ্রাম কো-ডিনেটর ফিরোজ মোহাম্মদ যুগল, জেলা মহিলালীগের সাধারন সম্পাদক ফরিদা খানম এনা, সদর উপজেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা চক্রবর্তী, সদর উপজেলা অপরাজিতা নেট ওয়ার্কের সভাপতি মাসুদা আকতার মিনু, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিউলি আক্তার ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার মৎসজীবি মহিলালীগের যুগ্ন আহব্বায়ক পল্লবী রানী সরকার প্রমুখ।

মিনু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ এমনকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য অনেক নারী রয়েছেন অথচ দলীয় ভাবে অগ্রাধিকার না পাওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছে নির্বাচন থেকে।

ফরিদা খানম এনা বলেন,নারীদের অধিকার বাস্তবায়ন এবং নারীদের সবক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নে ও নারীদের আত্মসামাজিক উন্নয়নে যে ভাবে অপারাজিতা কাজ করে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীরা সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম স¤পর্কে জানতে পেরেছে। জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করার সুযোগ পাচ্ছে। রাজনৈতিক দল গুলোতে নারীদের অবস্থান তৈরী হচ্ছে যা নারীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনের পরে নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী দলীয় রাজনীতিতে সকল কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শতকরা ৩৩ ভাগ নারীর জন্য সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে নারীদের অংশ গ্রহণের একটি বড় সুযোগ তৈরী হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মুলধারার রাজনৈতিক দলগুলিতে জেলা উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সভাপতি বা সাধারন স¤পাদক পদে নারীদের নির্বাচিত করা হয় না।

জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি তপন কুমার রায় বলেন, ‘দেশের আইনে যা আছে, বাস্তবতায় তা থাকে না। মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী তারপরেও তারা প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়। সামনে উপজেলা নির্বাচন সেখানে সাধারণ নারী পুরুষের অংশ গ্রহন একটি বড় চ্যালেঞ্চ। কারণ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জামানত এক লাখ টাকা আর ভাইস চেয়ারম্যান ৭৫ হাজার টাকা। এখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে ভোট করবে চিন্তা করা যায় না। পাশাপাশি, এমপি নির্বাচনের জামানত এক লাখ ২০ হাজার টাকা। অথচ একজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদেরও জামানত ৭৫ হাজার টাকা। তৃর্ণমুলে একজন নারী পক্ষে ভোট করা খুবেই কঠিন। তাহলে গণতন্ত্র থাকলো কোথায়।

এ প্রসঙ্গে সভার সভাপতি দৌলত জাহান ছবি বলেন, রাজনীতি চলে গেছে লুটেরাদের হাতে কারণ এতো এতো টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষ নমিনেশন কিনতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। কাজেই গণতন্ত্রের চর্চা বিফলে চলে যেতে বসেছে। নারীদের সক্ষমতা থাকা সত্তেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেনা। তাহলে নারীর ক্ষমতায়ন কিভাবে হবে এটাই বুঝে আসে না। সভায় সদর উপজেলা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলার অপরাজিতাগণ এতে অংশ নেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads